চট্টগ্রামে বিনোদন কেন্দ্রে বাড়ছে ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত - দৈনিক অনলাইন ২৪ নিউজ.কম

শিরোনাম

প্রিন্টিং বিজ্ঞাপন

home Top Ad

Monday, September 13, 2021

চট্টগ্রামে বিনোদন কেন্দ্রে বাড়ছে ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

 চট্টগ্রাম: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ ছিল সব বিনোদন কেন্দ্র। চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে খুলেছে সব বিনোদন কেন্দ্র।

এসব বিনোদন কেন্দ্রে বাড়ছে দর্শনার্থী। উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু কিছু বিনোদন কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও বেশির ভাগ কেন্দ্র উদাসীন।  

ফয়স লেক এমিউজমেন্ট পার্ক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, চট্টগ্রাম শিশুপার্ক, কাজীর দেউড়ি শিশুপার্কে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করলেও সেখানে বসানো হয়নি করোনা প্রতিরোধক বুথ। অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। মাস্কবিহীন গাদাগাদি করে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেছে যুবকদের। এতে করে আবারও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কঠোর লকডাউনের পর সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়ন করেছে সরকার। যার ফলে অনেকাংশেই কমে এসেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কিন্তু এ সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে। যে হারে মানুষ উদাসীন হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রের প্রবেশমুখে করোনা মোকাবেলায় মানা হচ্ছে কিছু স্বাস্থ্যবিধি, দেখা গেছে সচেতনতামূলক কার্যক্রম। এতে ব্যবস্থা করা হয়েছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। বিনোদন স্পটগুলোতে বড়দের সঙ্গে বেড়েছে শিশুদের উপস্থিতি। এদিকে উন্মুক্ত স্থান পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, কাট্টলী সৈকত, সিআরবিতে নারী-পুরুষ ও শিশুদের বেশ ভিড় দেখা যায়।  

সিআরবিতে ঘুরতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালেহ আকরাম বাপ্পি বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে স্থবির ছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলো। মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। এখন মানুষ একটু সুযোগ পেয়েছে। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ঘুরতে আসছে। আমিও মা বাবাকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। তবে ভয়ে আছি এখনো পরিস্থিতি খারাপ, কখন কী হয় এই ভেবে।

ফয়’স লেক এমিউজমেন্ট পার্কের ডেপুটি ম্যানেজার বিশ্বজিৎ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, শুরুর চেয়ে এখন দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। আমাদের এখানে বিদেশি পর্যটক ও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থী আসে। প্রথম দিন দর্শনার্থী হয়নি বললেই চলে। দ্বিতীয় দিন ২৫৫ জন ও  এরপর ৫৮৩টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। সেটি দিন দিন বাড়ছে। এখন প্রতিদিন ৬০০-৭০০ টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও ছুটির দিনে হাজারের বেশি বিক্রি হচ্ছে টিকিট। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আমরা অনেক কঠোর। তারপরেও অনেকে উদাসীন।  

চট্টগ্রাম শিশুপার্কের জেনারেল ম্যানেজার নাছির উদ্দিন বলেন, আগের তুলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। মাস্ক ছাড়া কোনো দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। স্বাস্থ্যবিধি পালনে আমরা কঠোর। প্রথম দিনে ১০০টির কম টিকিট বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় দিন ৪০০ টিকিট, এরপর ৬০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। এখন সেটি হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে।  

চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিনে মাত্র ১২০টি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২৫০টি টিকিট। এরপর বিক্রি হয়েছে ৭০০ টিকিট। দিন দিন সেটি বাড়ছে। এখন আমাদের প্রায় প্রতিদিন দেড় হাজার করে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও ছুটির দিনে ৪ হাজার টিকিট বিক্রি হচ্ছে।  

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। তাপমাত্রা পরিমাপ করছি। সচেতনতামূলক ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। এছাড়াও সব সময় মাস্ক পরার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।  

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

No comments:

Post a Comment

Pages