ফরিদপুরে ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ও ১৮টির মাঠে উঠেছে বন্যার পানি। এদিকে আগামীকাল রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে খুলছে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
কিন্তু জেলার ৩০টি বিদ্যালয় খুলতে পারা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মোট ১৭টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেছে। এর মধ্যে সাতটি বিদ্যালয়ের ভেতরে এবং বাকি ১০টি বিদ্যালয়ের আঙিনায় পানি উঠেছে। সদরপুরে উঠেছে ১২টি বিদ্যালয়ে এবং ফরিদপুর সদরে একটি বিদ্যালয়সহ মোট ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠে পাঠদানের অনুপোযোগী হয়ে গেছে।
চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্লা বলেন, তার উপজেলার যে সাতটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকেছে, ওই বিদ্যালয়গুলো হলো মোল্লাডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফাজের খাঁর ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুল বারী খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মণ্ডলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হুকুম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সারদী বিশ্বাসের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সদরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, সদরপুর উপজেলার ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেছে। এর মধ্যে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কক্ষের ভেতরে পানি ঢুকেছে। বাকি ৮টি বিদ্যালয়ের মাঠে পানি।
তিনি বলেন, যে চারটি বিদ্যালয়ের কক্ষে পানি ঢুকেছে, সে চারটি বিদ্যালয় হলো কাঁচিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর নাসিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামাল সিকদারের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাড়ালকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ফরিদপুরে তিনটি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুলের কক্ষে পানি ঢুকেছে। তবে পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করছি স্কুলগুলো দ্রুতই পাঠদান উপযোগী করা যাবে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির প্রবণতা কমেছে। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসবে।
No comments:
Post a Comment